• রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান

Reporter Name / ১৫ Time View
Update : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

 

মোঃ জুয়েল খাঁন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে দক্ষিণ জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসানের বিরুদ্ধে নিয়মবর্হিভূত ভূমি সেবার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ে ওই ভূমি কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদক বাগেরহাট জেলা সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম দুই ঘন্টাব্যাপি এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসান এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ভূমি কর দাতাদের নিকট থেকে নামজারি সহ ভূমি সেবার নামে বিভিন্ন খাত অতিরিক্ত অর্থ আদায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই অফিসের একটি রুমের মধ্যেথেকে ব্যাগে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রাথমিকভাবে জব্দ করেন অভিযানকারীরা। অভিযান পরিচালনার সময় স্থানীয় ভূমি মালিক সোমাদ্দারখালী গ্রামের নাসির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার নিকট থেকে ইউনিয়ন তহশীলদার গাজী শামিম আহসান জমির খাজনা বাবদ ১৮হাজার টাকা গ্রহন করে রশিদ প্রদান করেছেন ৩৭০ টাকার। এরকম একাধিক ভূমি মালিকেরা অভিযোগ রয়েছে।

এ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা দুদক এর সহকারী পরিচালক অভিযানের টিম প্রধান মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, দুদকের কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জিউধরা ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অফিসটি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসানের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক ভূমি মালিকদের লিখিত অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে জমির খাজনা আদায়, নামজারি সহ ভূমি সেবার সরকারি নির্ধারিত ফি ব্যাতিরেখে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন তিনি। সে কারনে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
ভূমি কর্মকর্তার নিকট ব্যাগের রাখা উদ্ধারকৃত ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে তার নিকট থেকে। পরবর্তী তদন্ত চলাকালীন তার নিকটে পাওয়া টাকা সঠিক প্রমাণাধী না হওয়া পর্যন্ত অন্যত্র ব্যয় করতে পারবে না। তার নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে স্ব-শরীরে তাকে দুদক জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাবের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

এদিকে এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসান তার দপ্তরে প্রাপ্ত টাকার বিষয়ে বলেন, তার মৎস্য ঘেরে মাছ বিক্রি করা টাকা তার নিকটে ছিলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd