জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের রংপুরের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ (৩১ মে) শনিবার বিকেল ৪ ঘটিকার সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ডাকবাংলো রোডস্থ পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ দিলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও জাপা নেতা আকলিছ আলীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামলে দেশে কোন সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ছিলনা। দেশে এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকার দেশের মধ্যে সুশাসনের নামে অপ-শাষন চালাচ্ছে। মানুষের জীবন-মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই।
তিনি বলেন এনসিপি নামক একটি দল এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে কোন বৈধতা না পেলেও কিভাবে তারা অন্য দলকে নিষিদ্ধের দাবি রাখে?
তিনি বলেন, এনসিপির কিছু পেটোয়া বাহিনী আছে যারা প্রশাসনে দলীয়করণ সহ লুটপাট, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশে অশান্তির সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না, অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নব্য ষড়যন্ত্রকারীরাও পানির সাথে মিশে যাবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নব্য ফ্যাসিবাদ এনসিপি একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এটা কখনো মেনে নেয়া যায়না, তাই আর নয় জাতীয় পার্টির সর্বস্থরের ঘুমন্ত নেতাকর্মীকে উজ্জিবিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি জাতীয় পার্টির সর্বস্থরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে তথাকথিত দলীয় নামধারী সন্ত্রাসীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য রাজপথে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
প্রতিবাদ সভায় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবদাল মিয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাহার, উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা ফিরোজ রানা, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ ছোরাব উল্লা, সহ সভাপতি মুক্তার আলী, আবুল খায়ের, সুহেল মিয়া, সামছুল হক, চান মিয়া প্রমূখ।