বাঙালি গুজবের কারখানা, গুজব ছড়াতে ভালোবাসে, গুজব বিশ্বাস করে, গুজবে ঘরের বউ তালাক দেয়, প্রতিবেশী কে হত্যা করে, সরকারের পতন ঘটায়! মোট কথা, গুজব ছড়িয়ে দিলে আপনি ঘরে বসে আকাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন!
গুজব কি? A rumor/rumour, is unvaried piece of information circulating among people, specially without EVIDENCE !
অথচ বাংলাদেশের সবাই দারুন ধার্মিক, গুজব হচ্ছে মিথ্যা রটনা, প্রমান ছাড়া রটনা! যেমন বর্তমান আইন উপদেষ্টা শ্রদ্ধেয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ছড়িয়ে দিলেন তার সব সভা বক্তৃতায়, “বাংলাদেশের মানুষ চাকুরী পায় না অথচ হাসিনা সরকার ২৬ লক্ষ ভারতীয় কে চাকুরী দিয়ে রেখেছে!” মজার কথা আহাম্মক সেই পতিত সরকার অধ্যাপক নজরুল কে মানহানির মামলা করলেন না বা চ্যালেঞ্জ করলেন না! নজরুল সাহেব এখন ক্ষমতায়, জনগন ও প্রশ্ন রাখে না ২৬ লাখ ধরে জেলে পুরে দেন না কেন?
হেফাজতের শাপলাচত্বর ঘেরাও আন্দোলনে ১৪ জন মতভেদে ১৭ জন ছাত্র হত্যা হওয়ার পর সে আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে! সে মৃত্যু ও শাপলা চত্বরে নয়, বায়তুল মুকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে ছোট তসবিহ জায়নামাজ কুরআন বিক্রির গোটা ১৭ দোকান পোড়ার পর পুলিশ গুলি চালায় এবং তাদের মৃত্যু হয়!
শ্রদ্ধেয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষণা করলেন “সরকারের পুলিশ শাপলা চত্বরে হাজার-হাজার ধর্মপ্রাণ মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা করেছে ঐ রাতে!
গুজব ছড়ানো হলো,” হাসিনা সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বেহিসাবি লোন নিচ্ছে যা বাংলাদেশের নতুন জন্ম নেয়া শিশু ও কোটি টাকা লোন মাথায় নিয়ে জন্ম নিচ্ছে! আসল সত্যি হলো, “বাংলাদেশের মাথা পিছু লোন ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছিলো এক লক্ষ টাকা! সে সময় বিশ্বে অন্যান্য দেশের মাথা পিছু লোন চিত্র ঃ —
সিঙ্গাপুর — ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
আমেরিকার — ১ কোটি ১৮ লাখ।
জাপান মাথা — ১ কোটি ৫ লাখ।
কানাডা ———- ৬৮ লাখ ।
ইতালি ————- ৬৩ লাখ।
বাংলাদেশ ——– ১ লক্ষ মাত্র! ( বাংলাদেশের সামরিক বাজেট, উন্নয়ন বাজেট কম)
আজ-কাল শুনবেন — মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের ভিতর চরম দ্বন্দ্ব, দেশে সামরিক আইন জারি, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, মানবিক করিডোর দেওয়ায় সেনাপ্রধান দারুন নাখোশ, শেখ হাসিনা প্রতি মাসে ২৭ বিলিয়ন করে বিদেশ পাচার করেছেন! আশ্চর্য জনক হলো শেখ হাসিনা যে ২০ বিলিয়ন রিজার্ভ রেখে গেছেন আজও রিজার্ভ একই আছে, তাহলে হাসিনার প্রতি মাসের পাচার রোধ হয়ে ৯ মাসে রিজার্ভ ১৫৩ বিলিয়ন হলো না কেন?
প্রিয় পাঠক, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনূস সাহেব এই মুহূর্তে বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি! তার পিছে আছে জাতিসংঘ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও আরকান যোদ্ধারা যাদের ২৭২ কিলোমিটার সীমান্ত ছেড়ে দেয়া হয়েছে! তাহলে কার বাপের ঘাড়ে কয়টা মাথা তাকে অপসরণ করে, তিনি পদত্যাগ করবেন কোন দূঃখে?
তার সাথে আছে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, জামাত, বিএনপি, হেফাজত ইত্যাদি।
তিনি ইচ্ছে করলে নির্বাচন না দিয়ে “হা না” ভোট দিতে পারেন যেমন টা করেছিলেন মেজর জিয়া, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ! অথবা কিছু বিএনপি কে কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ায় দিলে সব ল্যাটা চুকে গেলো! চাঁদাবাজি সুযোগটা তারা নিচ্ছে, বাকী সাংসদ সার্বভৌম করতে আর একটু ভাগ বাড়াতে হবে! নীতি আদর্শ তো এক ও অভিন্ন!
বেগম খালেদা জিয়া মুজিব হত্যাকারী মেজর ফারুকের মামা কে এম হাসান কে তিনজন সিনিয়র বিচারপতি ডিঙিয়ে পদোন্নতি দিয়ে “প্রধান বিচারপতি করেছিলেন, সূক্ষ্ম ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং মাথায় রেখে! ২০০৩ সালের জুনে প্রধান বিচারপতি, ২০০৪ সালে বয়স ৬৫ বছর পূর্ন, অবসর গ্রহন এবং তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবেন! তিনি যেহেতু “মুজিব খুনি ফারুকের মামা” তাই স্বভাবতই আওয়ামী বিরোধী এবং নির্বাচনে বিএনপি জয়ী! এসব করে তো দেশটা রসাতলে নিছেন তারা, আর দোষী হয়েছেন পাঙ্গাশ মাছ অপরিনামদর্শী নির্বোধ আওয়ামী নেত্রী! সে যা হোক —
ডঃ ইউনূস স্যার যুদ্ধাপরাধী পক্ষের উকিল তাজুল ইসলাম কে এ্যাটর্নী জেনারেল নিয়োগ দিয়েছেন! যাহাতে কোন আওয়ামী ছাড়া না পেয়ে যায় —
খাপে খাপে মিল!
মেজর জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারার শফিউল আলম প্রধান সহ সব খুনি সন্ত্রাসী, মুক্তি যুদ্ধের সময় ১১ হাজার কনভিকটেড আসামী সহ ৩০ হাজার নির্দিষ্ট অভিযোগ হত্যা অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ কারীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, এখনও বেছে বেছে ছাড়া হচ্ছে! তাই বলছিলাম, “Referendum is better than that of National Election.’ তা হলে এত নাটক প্রয়োজন হবে না! সরকার আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করবেন আবার সেনাপ্রধান বলবেন, ” আওয়ামীলীগ ছাড়া নির্বাচন হবে না। মাননীয় সেনা প্রধান তো রাস্ট্রের কর্মচারী (নিরাপত্তা), Decisions Maker নন!” সরকারের নির্বাহী হচ্ছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, তিনি যা করবেন তা প্রেসিডেন্ট আজ্ঞা বহ হয়ে সহি করবেন Ministry Forms of Govt. নিয়মটা এমনই!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন, গুজবে অপরিনামদর্শী নির্বোধ বিগত শাসক শেখ হাসিনা আগরতলা এসে গেছেন এমন ভুয়া ভিডিও দেখে বা শুনে রাতের ঘুম নষ্ট করবেন না! ভারতের মোদি বাবু বা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান এমন পদক্ষেপ নিতে সামর্থ্য রাখেন না এবং এমন কাজ তাদের উপর বর্তায় না! রাত জেগে এমন ভিডিও দেখে ঘুম হারাম করবেন না, গুজবের বাইরে থাকেন!