• শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
দিঘলিয়া প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠিত খুলনা নগরীতে গৃহবধূ খুন: ব্যাংক থেকে তোলা টাকার হদিস নেই, ছেলে পলাতক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খসরু শিশু বিদ্যানিকেতন ২০২৫ বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পঞ্চম শ্রেণীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের বৌলাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে ভবের বাজার নামক স্থানে জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে শনিবার ৩ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে এড,জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার সাংবাদিক সম্মেলন ভিপি ওয়ালী উল্লাহ্ রাব্বানী কেন (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর)-১ আসনের ধানের শীষ প্রতীক এর প্রার্থী হলেন? কি তার যোগ্যতা রাজনৈতিক  জগন্নাথপুর আদর্শ মহিলা কলেজের নবীন বরন ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

অভিনব কায়দায় অর্থ পাচারে সায়মন ওভারসীজের আসফিয়া, ক্রস বর্ডারে ১৮৯৪ টি এয়ার টিকিট বিক্রি, ১৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য তদন্তে বিমান মন্ত্রণালয়

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নানা উদ্যোগেও দেশে প্লেনের টিকিট কেলেঙ্কারী থামানো যাচ্ছে না। এবার বিশেষ কায়দায় এয়ার টিকিট বিক্রি করে অভিনব কায়দায় বিদেশে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে সায়মন ওভারসীজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির টিকিট কেলেঙ্কারীর বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে। ক্রস বর্ডারে (দেশের বাইরে) এয়ার টিকিট বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা পাচারের তথ্য মিলেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিমান মন্ত্রণালয় ও ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সূত্র বলছে, সায়মন ওভারসীজ নামের ট্রাভেল এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় নিজেদের কোম্পানির নামে থাকা গ্লোবাল ডিস্টিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) আইডি ব্যবহার করে বিদেশে এজেন্টদের মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রি করে আসছিল। অবৈধভাবে এ টিকিট বিক্রির টাকা বৈধপথে দেশে আনা সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রস বর্ডারে এয়ার টিকিট বিক্রি করে অভিনব কায়দায় অর্থ পাচারে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সায়মন ওভারসীজ লিমিটেডের কাছে ক্রস বর্ডার (দেশের বাহিরে) এয়ার টিকিট বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জান্নাত সালেহ’র কাছে চিঠি পাঠিয়ে তিন কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্য চাওয়া হয়েছে।
আসফিয়া জান্নাত সালেহের কাছে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়মন ওভারসীজ ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক ক্রস বর্ডার (দেশের বাহিরে) টিকিট বিক্রয়ের একটি স্টেটমেন্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত সায়মন ওভারসীজ বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসেসিয়েশনের (আইএটিএ) ডিডিএস আইডি ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওইসব দেশের ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১৮৯৪টি এয়ার টিকিট বিক্রয় করেছে। এই টিকিটের আনুমানিক মূল অন্তত ১৬ কোটি টাকা। টিকিটগুলো ব্যবহার করে যাত্রীরা ওইসব দেশ যেকে বাংলাদেশে এসেছে কিংবা তৃতীয় দেশে ভ্রমণ করেছে। যাত্রীরা ওইসব দেশে টিকিটের টাকা প্রদান করলেও তা বাংলাদেশে ফেরত আসেনি বলে অভিযোগ এসেছে।

এ বিষয়ে একাধিক ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গ্লোবাল ডিস্টিবিউশন সিস্টেমের (জিডিএস) মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্টরা এয়ার টিকিট বিক্রি করে থাকেন। এজন্য নিজস্ব আইডি থাকে, যা বাংলাদেশ থেকেই পরিচালনা করতে হয়। মূলত ওই আইডির মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রি করে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসেসিয়েশনের (আইএটিএ) মাধ্যমে এয়ারলাইন্সগুলোকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এয়ারলাইন্সগুলো এভাবে রেমিটেন্সের মাধ্যমে নিজ দেশে অর্থ নেয়, যার হিসেব রিজার্ভে থাকে। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ নিজেদের আইডি বিভিন্ন দেশের ট্রাভেল এজেন্সিকে দিয়েছে। ওই এজেন্সিগুলো থেকে বিদেশে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেই বিক্রির টাকা আর দেশে আসছে না। দেশের রিজার্ভেও যুক্ত হচ্ছে না। এভাবেই প্রতিষ্ঠানটি অর্থ পাচার করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব ছিলেন আসফিয়া জান্নাত সালেহ। মূলত তিনি ওই পদের প্রভাবে ট্রাভেল খাতে বড় ধরনের অনিয়ম করেন। চলতি বছরের আগস্টে সংগঠনটির সভাপতি ও মহাসচিবের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আটাব কমিটি বাতিল করে দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই আসফিয়ার বিরুদ্ধে এয়ার টিকিট কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd